গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
গত রোববার রাত ৩টার দিকে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, ওই রাতেই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যেই ১০ আসামির ৫ দিন করে রামান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেয়া সময়ের (বিকেল ৫টা) মধ্যে ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম ক্যাম্পাসে গিয়ে কথা না বলায় বুয়েটের প্রধান ফটকে তালা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তালা দেয়া হয়। এর আগে চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০১৯-২০) ভর্তি পরীক্ষা স্থগিতসহ ৯ দফা দাবি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো মধ্যে একটি ছিল হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর ৩০ ঘণ্টা পার হলেও বুয়েট ভিসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হওয়ার বিষয়ে আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টার মধ্যে তার জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম জবাবদিহি না করায় বুয়েটের প্রধান ফটকে তালা দেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে প্রধান ফটকে তালা দেয়া ছাড়াও ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কার্যালয়ে ভেতরে হল প্রভোস্টদের সাথে বৈঠকে বসেছেন ভিসি। কার্যালয়ের সামনে অবস্থা নেয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, বৈঠক শেষে ভিসি স্যার কথা না বলে যেতে না পারেন সে জন্য তারা অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে বিকেলে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক (ডি এস ডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমান ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে গেলে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। এ সময় তাকে ভুয়া ভুয়া, সেইম সেইম বলেও লজ্জা দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।